CDC থেকে বিশেষজ্ঞদের কাছে দেওয়া হয়েছে একটা ক্রিটিক্যেল চেক লিস্ট। কয়ক সাপ্তাহ যাবত হয়ে একটা বিশেষ ধরনের শিশুদের রোগের উপসর্গ জনিত গবেষণা নিয়ে করা সেই রিপোর্ট।
এসব উপসর্গের মাঝে আছে-
১। জ্বর।
২। চামড়ায় দাগ।
৩। কমপক্ষে দুইটা অঙ্গ আক্রান্ত।
৪। কভেড পজেটিভ;
শরীরে এন্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ শুরু হওয়ার ৪ সাপ্তাহ আগেই এই উপসর্গ গুলো শুরু হয়। এগুলো দেখতে অনেকটা কাওয়াসাকী রোগের মতোই। রেশ, চোখ লাল হওয়া, গলায় ব্যেথা আর ভীষণ ব্যেথা।
এটা দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও ভীষণ বিপদজনক, ১৮ বছরের নিচের ইতোমধ্যে ৩ জন ৫ থেকে ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
CDC সতর্ক করেছে, “করোনা মহামারী হওয়ার পর এটা নিশ্চিত না যে, একই সময়ে এই ধরনের অতিক্রিয়াশীল রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার বা উন্নয়ন করা যাবে”
কেবল আমেরিকারই ১৯ প্রদেশের ১৩৫ জনের বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে বলে, তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর এসেছে নিউইয়র্ক থেকে। করোনার এক বিবর্তন নিশ্চিত করা হয়েছে ৬ সাপ্তাহ আগে।
ড জাফরি বর্ণ এই বিষয়টা নিয়ে হাজারেরও বেশি ডাক্তারের সাথে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটা সমাধানের কোন উপায় বের করতে এখনও আমরা সমর্থ হতে পারি নি”
MIS-c বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে করোনা স্পাইক হবার ৪-৬ সাপ্তাহ পর উপসর্গ গুলো শুরু হয়।
তিনি আরও বলেছেন,” এটা করোনার মতো না। বাচ্চারা আসলে সক্রিয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না। আসলে ব্যপারটা তেমন না যেমন বলা হচ্ছে। আমাদের গবেষণা থেকে যা এসেছে টা হলে এটা করোনা ভাইরাসের মতো না। আমরা এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি ”
৪ বছরের এমিলিয়ার করোনা দুইবার করোনা নেগেটিভ আসে। প্রচণ্ড ব্যেথায় আক্রান্ত হয়ে যখন তাঁকে হাঁসপাতালে ভর্তি করানো হয় তখন চূড়ান্ত ভাবে করোনা পজিটিভ আসে।
তার মা এলিসিয়া লোপেজ জানান, “আমাদেরও করোনা এন্টিবডি আছে, আমার ৩ বছরের বাচ্চার, আমার, আমার স্বামীর”
এমিলিয়াকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল, উন্নত পরিচর্যার জন্যে।
৬ দিন আগে সে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।